বৃহস্পতিবার ৩১ জুলাই ২০২৫ - ০৮:২২
কুদস ইসলামী উম্মাহর জন্য ঈমান ও প্রতিরোধের দীপ্ত মশাল: শেখ যাকযাকি

গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলি বাহিনীর চলমান বর্বরতার প্রতিবাদে নাইজেরিয়ার রাজধানী আবুজায় এক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ফিলিস্তিনি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন নাইজেরিয়ার নেতা শেখ ইব্রাহিম যাকযাকি।

হাওজা নিউজ এজেন্সির: শেখ যাকযাকির আবুজা বাসভবনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধর্মীয় ও জাতিগত পটভূমির বিশিষ্ট আলেম, সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন। সভাটি ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি একাত্মতা এবং ইসরাইলি বাহিনীর অব্যাহত যুদ্ধাপরাধ—বিশেষ করে নারী, শিশু ও নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

শেখ যাকযাকি তাঁর বক্তব্যে ইসরাইলি দখলদারদের নৃশংস কার্যকলাপের কঠোর নিন্দা জানান এবং গাজাবাসীর চলমান দুঃখ-দুর্দশার প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সাহস ও আত্মত্যাগের প্রশংসা করে বলেন, “আল-কুদস কেবল একটি ভূখণ্ড নয়—এটি একটি পবিত্র আমানত এবং সমগ্র মুসলিম উম্মাহর জন্য ঈমান ও প্রতিরোধের প্রতীক।”

তিনি আরও বলেন, “ফিলিস্তিনের সংগ্রাম একটি সার্বজনীন অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই। যারা আল্লাহ ও পরকালকে বিশ্বাস করে, তাদের প্রত্যেকেরই এই পবিত্র সংগ্রামের পক্ষে অবস্থান নেওয়া উচিত।”

শেখ যাকযাকি মুসলিম বিশ্বের কিছু নেতার নীরবতা ও নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা করে বলেন, “বায়তুল মুকাদ্দাস এমন এক পবিত্র নগরী, যা মুসলমানদের হৃদয়কে একসূত্রে গাঁথে। যারা আল্লাহ ও হাশরের দিনে বিশ্বাস রাখে, তারা নিশ্চয়ই এর ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকবেন।”

বক্তৃতার শেষাংশে তিনি বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে তারা সদা সচেতন ও দৃঢ় অবস্থানে থেকে কুদস এবং অন্যান্য দখলকৃত পবিত্র ভূমির মুক্তির জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেন। তিনি বলেন, “জায়োনিস্ট আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং ফিলিস্তিনি সংগ্রামকে সর্বাত্মক সমর্থন দেওয়া—এই ঐক্যবদ্ধ চেতনাই আমাদের বিজয়ের পথ খুলে দেবে।”

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha